empty
 
 
24.04.2025 07:57 AM
২৪ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবারের জন্য বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে গতকাল আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো বেশিরভাগ প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। খুব কম প্রতিবেদনই মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাবভ বিস্তার করে। তারপরও, আজ জার্মানিতে Ifo বিজনেস ক্লাইমেট প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র টেকসই পণ্যের অর্ডার এবং নতুন বাড়ি বিক্রয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। অতীতে এই প্রতিবেদনগুলো মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারত—কিন্তু এখন আর তা হয় না। এমনকি যদি মার্কেটের ট্রেডাররা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়ও, তবুও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের 90% মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর নির্ভরশীল থাকবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডমেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করে বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যেকোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা ডলারের আরও দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। এই সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছেন, তবে এটি এখনো উত্তেজনা প্রশমনের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। যেহেতু এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, আমরা অবাক হব না যদি তিনি চীনের উপর আরোপিত শুল্ক হ্রাসের ঘোষণার পর আবার তা বাড়িয়ে দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক 145% স্তরে বজায় রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা মার্কেটে স্বস্তির ঢেউ সৃষ্টি করেছে। বিটকয়েন, মার্কিন ডলার, এবং মার্কিন স্টক সূচকগুলো এই খবরের পর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করেননি যে কখন বা কী শর্তে এই শুল্ক হ্রাস করা হবে। যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজ উত্তেজনা প্রশমন করবে না। ট্রাম্প আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করবেন না। এই দুইটি শিরোনাম মঙ্গলবার এবং বুধবার ডলারের কিছুটা দর বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষের দিকের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ডলারের জন্য ইতিবাচক খবর ইতোমধ্যে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছে, তাই এখন উভয় পেয়ারের আরও বড় ধরনের দরপতনের আশা করা কঠিন। নতুন ট্রেডাররা টেকনিক্যাল লেভেলগুলোর আশেপাশে সিগন্যাল খুঁজে যেতে পারেন, তবে মনে রাখতে হবে যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে টেকনিক্যাল লেভেলগুলো অনেকটাই উপেক্ষা করছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.