আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে নিচে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1340 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি ইউরো বিক্রি করিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেক প্রকাশিত কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক বৃদ্ধির ফলাফল মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে পারেনি। এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং মার্কেটে এমন সংযত প্রতিক্রিয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণভাবে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল—বিশেষ করে ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন—ডলারের শক্তিশালী হওয়ার সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, যা মার্কিন অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে এবং এর ফলে ডলার-ভিত্তিক অ্যাসেটের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। তবে, এই ক্ষেত্রে সম্ভবত বিনিয়োগকারীরা এই বৃদ্ধিকে ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাশায় মূল্যায়ন করেছে, অথবা ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক, মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি, বা ফেডের নমনীয় আর্থিক নীতিমালার ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা—এই ধরনের অন্যান্য কারণগুলো কারেন্সি মার্কেটের গতিশীলতার ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলছে। টেকনিক্যাল কারণগুলোকেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। পাশাপাশি, এটি মনে রাখা উচিত যে ভোক্তা আস্থা সূচকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলেও, এটি কোনো কারেন্সির মূল্যের একমাত্র নির্ধারক নয়।
আজ, স্পেনের বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাড়া অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই। যদিও এই ধরনের পরিসংখ্যান কিছুটা অগুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, তবুও বেকারত্বের হার বেড়ে গেলে ইউরো সাময়িকভাবে দুর্বল হতে পারে, যদিও এই সম্ভাবনা কম। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায়, রেঞ্জ-ভিত্তিক ট্রেডিং করাই ভালো।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1456-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1392-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1456-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1341-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1392 এবং 1.1456-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1341-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1284-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1392-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1341 এবং 1.1284-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।