empty
 
 
29.04.2025 07:43 AM
২৯ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কিছুটা মিশ্র মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, তা যেভাবেই দেখা হোক না কেন। একদিকে, শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে, যদিও এর পেছনে শক্তিশালী কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। অন্যদিকে, ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে রয়ে গেছে, যেখানে এটি তিন সপ্তাহ ধরে ট্রেড করছে। ফলস্বরূপ, যদিও সোমবারে যথেষ্ট কার্যকর প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা গেছে, সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্র অপরিবর্তিতই রয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো অপেক্ষার মধ্যে রয়েছে। এবং এই অপেক্ষা সপ্তাহের শেষে প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদনের জন্য নয় — এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা। আমরা প্রায় নিশ্চিত যে, মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও, বিস্তৃতভাবে টেকনিক্যাল চিত্রের উপর প্রভাব ফেলবে না। ডলার শক্তিশালী হচ্ছে না, এমনকি মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি থাকলেও। এবং সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো বক্তব্যও অনুষ্ঠিত হয়নি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে অন্তত একটি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.1330 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং দিনের শেষে নিকটতম টার্গেট — 1.1413 লেভেলে পৌঁছেছে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা সকালে লং পজিশন ওপেন করে সন্ধ্যায় তা ক্লোজ করে প্রায় 60 পিপস লাভ করতে পেরেছে। 1.1413 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ডের ক্ষেত্রেও ট্রেড করা যেত, তবে শর্ট পজিশন থেকে কোনো লাভ করা যায়নি।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। গত সপ্তাহে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শুরু হলেও, মঙ্গলবার ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে তা দরপতনে রূপ নেয়। যদি সেই তীব্র ওঠানামাগুলো উপেক্ষা করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে মার্কেট তিন সপ্তাহ ধরে ফ্ল্যাট রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মার্কিন ডলার এবং অ্যাসেটের প্রতি চরম নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। তবে, যদি ট্রাম্প বাণিজ্য সংঘাতের নিরসনের দিকে অগ্রসর হন, তাহলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কবে তা হবে বা আদৌ হবে কিনা, তা কেউ জানে না।

মঙ্গলবার, আবারও এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মার্কেটের মুভমেন্ট এখন পুরোপুরি ট্রাম্পের বিবৃতি এবং সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আমরা মনে করি, এই পেয়ারের মূল্য এখনও কিছুদিন ফ্ল্যাট রেঞ্জে থাকবে।

5-মিনিট টাইমফ্রেমে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখুন: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292, 1.1330, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622, 1.1666, 1.1689। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, JOLTS থেকে জব ওপেনিং বা চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, একটি মাত্র প্রতিবেদন মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে না, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.