empty
 
 
29.04.2025 08:20 AM
২৯ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো সব স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন বাদ দিই, তাহলে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের JOLTS থেকে প্রকাশিতব্য জব ওপেনিংস বা চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনই রয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদন যথেষ্ট বিলম্বে প্রকাশিত হয়, এবং তাই এটি বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সমস্ত যুক্তি অনুযায়ী, বড় পরিসরে আমদানি শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে এবং বেকারত্ব বাড়তে পারে। ফলে, মার্চের JOLTS প্রতিবেদনের তুলনায় এপ্রিলের নন-ফার্ম পে-রোলস এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো অর্থ নেই। ট্রাম্প নতুন নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে চললে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। যেকোনো উত্তেজনার বৃদ্ধি ডলারের আরেক দফা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করা শুরু করেছেন, তবে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, এটা অবাক করার মতো হবে না যদি তিনি চীনের জন্য শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আবার তা বাড়িয়ে দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি চীনা পণ্যের ওপর 145% শুল্ক বজায় রাখার কোনো ইচ্ছা পোষণ করছেন না, যা মার্কেটে কিছুটা স্বস্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে। তবে, মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে কোনো আশাবাদের ঢেউ দেখা যায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো দৃশ্যমান ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে না, তাই তারা মার্কিন মুদ্রা কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। এমনকি সোমবারেও, যখন কোনো সংবাদ ছিল না এবং ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল, তখনও মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির পথই অনুসরণ করেছে।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে আমরা সম্ভবত ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখতে পাব — অন্তত ইউরোর ক্ষেত্রে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো অনেক বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, এবং এর জন্য কোনো সংবাদের প্রয়োজন হচ্ছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.