আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1398 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের দর 15 পিপস বৃদ্ধি পায়, তবে এরপর বুলিশ মোমেন্টাম দুর্বল হয়ে পড়ে।
গতকাল প্রকাশিত মার্কিন ভোক্তা আস্থা সূচকের হতাশাজনক ফলাফল ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। দেশটির ভোক্তা আস্থা সূচকটির ফলাফল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক নিচে এসেছে, যা মার্কিন ভোক্তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়। এটি মূলত ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সাথে সম্পর্কিত, যা বিভিন্ন পণ্যের দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। ডলারের এই দরপতন ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। ইউরোপীয় মুদ্রাটি ইউরোজোনের ঋণ বাজার সংক্রান্ত উৎসাহব্যঞ্জক প্রতিবেদন থেকেও অতিরিক্ত সমর্থন পেয়েছে।
আজকের দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি, জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI), কর্মসংস্থান এবং খুচরা বিক্রয়ের প্রবণতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনের জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে টয়্রেডাররা বুঝতে পারবে শীতকালীন দুর্বলতার পর অর্থনীতি কতটা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে এবং এটি ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা নির্ধারণে সহায়তা করবে — বিশেষ করে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের আলোকে।
জার্মানির প্রতিবেদনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির ভোক্তা মূল্য সূচক দেশটির মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে। কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি প্রতিফলিত করবে, আর খুচরা বিক্রয় সূচকের ফলাফল ভোক্তা ব্যয়ের মাত্রা নির্দেশ করবে। সম্মিলিতভাবে এই পরিসংখ্যানগুলো অঞ্চলটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সার্বিক চিত্র নির্ধারণ করবে, যা ইউরোর মূল্যের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় প্রভাব ফেলবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1440-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1386-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1440-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1365-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1386 এবং 1.1440-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1365-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1313-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1386-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1365 এবং 1.1313-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।